Home রাজনীতি শেরপুর জেলা আ. লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কারামুক্ত

শেরপুর জেলা আ. লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কারামুক্ত

12

শেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক ১৬ বছরের পিপি, বর্তমান কমিটির সিনিয়র সহসভাপতি এডভোকেট চন্দন কুমার পাল কঠিন গোপনীয়তার মধ্যে সোমবার ২৯ সেপ্টেম্বর ভোরে শেরর্পু জেলা কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন। তার বিরুদ্ধে ৫ আগস্ট ছাত্র হত্যাসহ মোট ৮টি মামলা চলমান ছিল।

জেলা আওয়ামী রাজনীতিতে দীর্ঘ সময় ক্ষমতাবান প্রভাবশালী সেকেন্ডম্যান হিসেবে তার পরিচিতি আছে। চন্দন কুমার পালের মুক্তিকে কেন্দ্র করে প্রভাবশালী কয়েকজন আইনজীবি ও রাজনীতিবিদরে নাম নিয়ে শেরপুর শহরে সমালোচনার ঝড় উঠেছে।

জানা যায়, ৮মাস আগে চন্দন পাল পালানোর সময় বেনাপোল সীমান্তে ধরা পড়েন। এর পর থেকেই তিনি শেরপুর জেলখানায় ছিলেন।

৫ আগস্টের বৈষম্যবিরোধী আদোলনে হত্যা মামলাসহ ৭ মামলার আসামি চন্দন পাল গত ৯ সেপ্টম্বর উচ্চ আদালতের আদেশে শেরপুর জেলা হাজত থেকে মুক্তি পান। মুক্তির পরে জেল গেট থেকে ওই দিনই ১৯৭৪ সালে বিশেষ ক্ষমতা আইনের একটি মামলায় পুলিশ চন্দন পালকে আবারও গ্রেপ্তার করে।

২৮ সেপ্টম্বর শেরপুর আদালত থেকে বিশেষ ক্ষমতা আইনে চন্দন কুমার পালের জমিন হলে ২৯ সেপ্টেম্বর ভোরে তিনি মুক্তি পান। তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন শেরপুর জেল হাজাতের জেলার আব্দুস সেলিম।

শেরপুর পৌর শহরে এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই নিয়ে ব্যাপক নেতিবাচক আলোচনা সমালোচনা শুরু হয়েছে।

শহরে আলোচনা হচ্ছে, চন্দন কুমার পালকে সকালে জেল থেকে বের করে সীমান্ত দিয়ে ভারতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই চক্রের সাথে একজন নামধারী সাংবাদিক ও বিশেষ একটি রাজনৈতিক সুবিধাভোগী গোষ্ঠি জড়িত বলছেন শহরের বাসিন্দারা।

তবে মুক্তির পর তাকে বাসায় পাওয়া যাচ্ছে না। কোথায় আছেন পরিবারসহ কেউ বলছে না। এ নিয়ে বৈষম্যবিরোধী, এনসিপি, বিএনপি ও জামায়াতের বেশ কিছু নেতা বিস্ময় প্রকাশ করেছেন।

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সাবেক আহবায়ক মামুনুর রহমান বিস্ময় প্রকাশ করে বলেছেন এমন একজন শীর্ষ নেতার গোপনে জামিন ও মুক্তিতে আমরা নিরাশ হয়েছি। শেরপুরের মানুষ কিছু এ ব্যাপারে কিছুই জানি না।

শেরপুর জেলা এনসিপি সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার লিখন মিয়া বলেছেন আর্শ্চয হলাম, জবাব নেই। আমরা কর্মসুচি দিব।

জেলা বিএনপির আহবায়ক এডভোকেট সিরাজুল ইসলাম বলেন, শুনেছি কিন্ত কিভাবে হলো জানি না।

NO COMMENTS

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here