
নালিতাবাড়ী প্রতিনিধি: শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলাধীন শাহীন স্কুল নন্নী বাজার শাখা পরিচালক শাহ আলমের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ইতোমধ্যে এসব অভিযোগের বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য টাঙ্গাইলের শাহীন শিক্ষা পরিবারের চেয়ারম্যান বরাবর লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন এলাকাবাসী।
অভিযোগ ও স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, নালিতাবাড়ী উপজেলার শাহীন স্কুল নন্নী বাজার শাখার পরিচালক হিসেবে যোগদানের পর থেকে শাহ আলম অধিকাংশ শিক্ষার্থী অভিভাবক, শিক্ষক-শিক্ষিকা ও শিক্ষার্থীদের সাথে দুর্ব্যবহার শুরু করেন। এতে কতিপয় মেধাবী শিক্ষার্থী শাহীন স্কুল থেকে অন্য স্কুলে চলে গেছেন। তার র্দুব্যবহারের জন্য স্কুলের শিক্ষার্থী উপস্থিতিও কমে যাচ্ছে। এছাড়া পরিচালক শাহ আলমের ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে ৬ জন শিক্ষক একযোগে চাকুরী ছেড়ে স্কুল থেকে চলে গেছেন। অভিযোগ রয়েছে তিনি এলাকার বিভিন্ন অভিভাবক ও গন্যমান্য ব্যক্তিদের সাথে ভালো ব্যবহার করেন না। তিনি যোগদানের পর নানা কৌশলে অভিভাবকদের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টায় লিপ্ত আছেন। সম্প্রতি শাহীন স্কুল নন্নী বাজার শাখায় (র্যাফেল ড্র) লটারীর নামে ক্রিকেট খেলার আড়ালে পরিচালক শাহ আলম মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ ওঠে।
ওই স্কুলের শিক্ষার্থী অভিভাবক আশরাফুল আলম উজ্জল বলেন, নবাগত পরিচালক শাহ আলম অভিভাবক, শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের সাথে প্রায়ই দুর্ব্যবহার করেন। নানা অনিয়ম ও অহংকারী কথা বলায় স্কুল মিটিং এ সে অপমানিত হন। কৌশলে অভিভাবকদের কাছ থেকে তিনি অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছেন। তাকে অতিদ্রুত এই স্কুল থেকে সরিয়ে না নিলে স্কুলের শিক্ষার মান ও শিক্ষার্থী কমে যাবে।
আরেক শিক্ষার্থী অভিভাবক হালিমা খাতুন বলেন, আমার বাচ্চার জন্য টাই কিনতে গেলে গুছিয়ে কথা বলতে না পারায় আমাকে বকাবকি ও অপমান করে পরিচালক শাহ আলম অফিস থেকে বের করে দেন।
সদ্য চাকুরি ত্যাগ করা ওই স্কুলের শিক্ষক আমিরুল ইসলাম বলেন, আমারা বিনা বেতনে প্রায় ৩ মাস দিনরাত কষ্ট করে শিক্ষার্থী ভর্তি করেছি। নারী কেলেঙ্কারির জন্য এই স্কুলের তৎকালীন এক পরিচালককে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এই ঘটনা প্রকাশ হলে এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়। ওই শুন্য পদে যোগদানের পর থেকেই বেপরোয়া হয়ে উঠেন পরিচালক শাহ আলম। তিনি শিক্ষার্থী ও অভিভাবকসহ শিক্ষকদের সাথে দুর্ব্যবহার করে নানা ষড়যন্ত্র ও চাপে রাখেন। ফলে আমিসহ ৬ জন শিক্ষক চাকুরি ছেড়েছি।
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে পরিচালক শাহ আলম বলেন, আমি কাউকে চাকুরিচুত্য, অনিয়ম ও কারো সাথে দুর্ব্যবহার করিনি। এটি একটি তুচ্ছ ঘটনা। ক’জন শিক্ষক নিজ উদ্যোগে পদত্যাগ করে চলে গেছেন।
এ ব্যাপারে শাহীন স্কুলের আঞ্চলিক প্রধান আব্দুল গফুর সাংবাদিকদের জানান, নন্নী শাহীন স্কুলের পরিচালক শাহ আলমের বিরুদ্ধে অভিযোগের কপি হাতে পেয়েছি। তাকে নোটিশ করা হয়েছে। পরবর্তীতে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

