ঢাকা, শুক্রবার   ২৮ জুন ২০২৪ ||  আষাঢ় ১৪ ১৪৩১

অতিরিক্ত মাংস খেলে যেসব সমস্যা হতে পারে

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১১:২১, ২০ জুন ২০২৪  

অতিরিক্ত মাংস খেলে যেসব সমস্যা হতে পারে

অতিরিক্ত মাংস খেলে যেসব সমস্যা হতে পারে

কোরবানির ঈদে খাবারের মূল উপাদানই হলো বিভিন্ন রকমের মাংস; যেমন গরু, খাসি, মহিষ, এমনকি কারো কারো মেনুতে উটের মাংসও থাকতে পারে। নিজের বাসায় তো বটেই; আত্মীয়, বন্ধুবান্ধবের বাসায় ঘুরে ঘুরে প্রায় সারা দিনই টুকটাক এটা-সেটা ইচ্ছা বা অনিচ্ছায় খাওয়া হয়েই যায়।

মাংস তো খাবেনই, কিন্তু এ ক্ষেত্রে চাই পরিমিতিবোধ, সংযম ও স্বাস্থ্যসচেতনতা। মনে রাখতে হবে, দু–এক দিন বেশি মাংস খেতে বাধা যদিও নেই, তবু খেতে হবে রয়েসয়ে। আর এই রেডমিট বা লাল মাংস বেশি পরিমাণে খাওয়ায় কারো ক্ষেত্রে পেটে ব্যথা, বমি বমি ভাব, ডায়রিয়া এবং বদহজম অবধি হতে পারে। 

অস্বস্তি
অতিরিক্ত মাংস খাওয়ার পরে পেটে ব্যথা ও অস্বস্তি হতে পারে। এর লক্ষণগুলো হতে পারে- পেট ফুলে যাওয়া, থেকে থেকে ব্যথা হওয়া, বমি বমি ভাব, অম্বল, ডায়রিয়া, মাথাব্যথা এছাড়া খিটখিটে বা নার্ভাস বোধ করাও হতে পারে। প্রতিবার রেডমিট খাওয়ার সময় বা পরে যদি বমিবমি ভাব বা অন্য হজমের লক্ষণ দেখা গেলে তা ফুড ইনটলারেন্স বা অস্বস্তির লক্ষণ। এই সমস্যার কোনো সরাসরি প্রতিকার নেই। তাই এইরকম সমস্যা খাওয়া এড়াতে বেশি পরিমাণে মাংস খাওয়া এড়ানো ছাড়া বিকল্প নেই। পেটের স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে খাদ্যতালিকায় শাক-সবজি রাখুন। এছাড়া সমস্যা গুরুতর হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

অ্যালার্জি
রেডমিট একটি অত্যন্ত অ্যালার্জি জনিত খাবার। অনেকেরই এইরকম রেডমিট খেলে অ্যালার্জি দেখা যায়। যদিও এই ধরনের খাবারের অ্যালার্জি খুব স্বাভাবিক নয়। এক্ষেত্রে বমির সাথে ডায়রিয়া, কাশি-শ্বাসকষ্ট, মাথা ঘোরার লক্ষণও দেখা যেতে পারে। রেডমিটে যদি অ্যালার্জি থাকে তবে তা একেবারেই এড়িয়ে চলা ভালো। সেক্ষেত্রে বিকল্প হিসেবে মুরগি বা টার্কি খেতে পারেন। তাছাড়া টফু, মটরশুঁটি এবং ডিমের মতো খাবার প্রোটিনের উৎস হিসেবে বেছে নিন। অ্যালার্জির কারণে মারাত্মক প্রতিক্রিয়া দেখা দিলে, যেমন জ্ঞান না থাকা এবং শ্বাসকষ্ট হলে অবিলম্বে চিকিৎসকের সহায়তা নিন।

বদহজম
কুরবানি ঈদের সময় সবচেয়ে বেশি এই সমস্যা দেখা যায়। বার বার অনেক বেশি মাংস খাওয়ার কারণে বদহজম হওয়া অস্বাভাবিক কিছু নয়। এর ফলে বমি, পেট ব্যথাসহ কোষ্ঠকাঠিন্যও দেখা দিতে পারে।  অল্প কিছুদিন ধরে এরকম সমস্যা হলে বেশ কিছুদিন তরল খাবার খেলে অন্ত্র স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে। সমাধান না হলে ডাইভার্টিকুলাইটিসের চিকিৎসা নিতে হতে পারে। প্রয়োজনে ডাক্তারের পরামর্শে অ্যান্টিবায়োটিক সেবন করুন।

গ্যাস্ট্রাইটিস
এই সময় পেটে ব্যথার আরেকটি কারণ হতে পারে গ্যাস্ট্রাইটিস। পেটের আস্তরণে জ্বালাপোড়া, ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ, অটোইমিউন ডিসঅর্ডার, দীর্ঘদিন ব্যথার ওষুধ সেবনসহ আরও অনেক কারণেই এই সমস্যা হতে পারে।

ফুড পয়জনিং
অনেক সময় মাংস খাওয়ার পর ফুড পয়জনিং হতে পারে। খাবারে ব্যাকটেরিয়া, পরজীবী বা ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হলে এরকম হয়। সাধারণত গরুর মাংসে থাকা দু’টি ব্যাকটেরিয়া ই. কোলাই এবং সি. পারফ্রিনজেন এর প্রভাবে বেশি সমস্যা দেখা যায় ।

সর্বশেষ
জনপ্রিয়