কালেমা তাওহিদের ফজিলত ও গুরুত্ব
নিউজ ডেস্ক
![কালেমা তাওহিদের ফজিলত ও গুরুত্ব কালেমা তাওহিদের ফজিলত ও গুরুত্ব](https://www.sherpurnews.com/media/imgAll/2020Aprila/New-Project---2024-06-29T144051733-2406290840.jpg)
কালেমা তাওহিদের ফজিলত ও গুরুত্ব
কালেমা তাওহিদ বা কালেমা তায়্যেবা হলো, لاَ اِلَهَ اِلاَّ اللهُ مُحَمَّدُ رَّسُوْ لُ الله উচ্চারণ: ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ’।অর্থ: ‘আল্লাহ ছাড়া কোনো ইলাহ নেই, মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আল্লাহর রাসূল’।
কালেমাটির বক্তব্য অন্তরে বিশ্বাস করা ও মুখে স্বীকার করার মাধ্যমে মানুষ ঈমানের মহাসৌভাগ্যের অধিকারী হয়।
যারা কালেমা তাওহিদের মর্ম উপলব্ধি করে অন্তরে বিশ্বাস নিয়ে তা পাঠ করে, তাদেরকে আল্লাহ দুনিয়া ও আখেরাতে ঈমানের ওপর দৃঢ় রাখেন। দুনিয়াতে যখন তাদের অন্তরে কোনো সন্দেহ আসে, আল্লাহর পক্ষ থেকে সে সন্দেহ দূর করে দৃঢ় বিশ্বাসের দিকে হেদায়াত দেন। প্রবৃত্তির তাড়নায় মানুষ যখন দিশেহারা হয়ে যায়, তখনও আল্লাহর সাহায্যে সে খারাপ কাজ থেকে বেঁচে যায়। মৃত্যুর আগে শয়তানের ধোঁকা থেকে হেফাজত করে তাকে ঈমানের সঙ্গে মৃত্যুবরণের ব্যাপারেও সাহায্য করা হয়, কবরেও সে আল্লাহর সাহায্যে ফেরেশতাদের প্রশ্নের উত্তর সঠিকভাবে দিতে পারে।
আল্লাহ রাব্বুল আলামিন বলেন, یُثَبِّتُ اللّٰهُ الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا بِالۡقَوۡلِ الثَّابِتِ فِی الۡحَیٰوۃِ الدُّنۡیَا وَ فِی الۡاٰخِرَۃِ
অর্থ: ‘যারা ঈমান এনেছে তাদেরকে আল্লাহ সুপ্রতিষ্ঠিত বাণীর অবলম্বনে দুনিয়ার জীবনে ও আখেরাতে প্রতিষ্ঠিত রাখবেন’। (সূরা: ইব্রাহিম, আয়াত: ২৭)
বারা ইবনে আজেব (রা.) থেকে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, إِنَّ الْمُسْلِمَ إِذَا سُئِلَ فِي الْقَبْرِ فَشَهِدَ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَأَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَذَلِكَ قَوْلُ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ (يُثَبِّتُ اللَّهُ الَّذِينَ آمَنُوا بِالْقَوْلِ الثَّابِتِ
অর্থ: ‘মুসলমান ব্যক্তিকে যখন কবরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তখন সে এ সাক্ষ্য দেয়, ‘আল্লাহ ছাড়া কোনো ইলাহ নেই এবং মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর রাসূল। এ হচ্ছে আল্লাহর এ বাণীর অর্থ যে ‘যারা ঈমান এনেছে তাদেরকে আল্লাহ সুপ্রতিষ্ঠিত বাণীর অবলম্বনে দুনিয়ার জীবনে ও আখেরাতে প্রতিষ্ঠিত রাখবেন’। (সহিহ বুখারি)
কালেমায়ে তাওহিদ যে পাঠ করে, আর কালেমায়ে তাওহিদের ওপর প্রতিষ্ঠিত থেকে যার মৃত্যু হয়, সে জাহান্নাম থেকে মুক্তি পাবে, আল্লাহর কাছে তার প্রতিদান হলো জান্নাত।
ইতবান ইবনে মালেক (রা.) থেকে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, فإن الله حرَّم على النار مَنْ قال لا إله إلا الله يَبْتَغِي بذلك وجهَ الله
অর্থ: ‘আল্লাহ তাআলা এমন ব্যক্তির উপর জাহান্নামের আগুন হারাম করে দিয়েছেন, যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ বলেছে’। (সহিহ বুখারি)
- শিশুর জিদ দূর করার আমল
- যে দোয়া পড়বেন সকল প্রয়োজন ও আশা পূরণে
- কোরআন শিক্ষার গুরুত্ব ও ফজিলত
- ফজরে ঘুম থেকে না উঠতে পারার কারণ ও উঠার উপায়
- কোরআন মানব জাতির জন্য রহমত ও হেদায়েত
- কেয়ামত ঘনিয়ে আসছে, বোঝা যাবে এসব আলামতে
- বদনজর কিভাবে লাগে? বাঁচার আমল
- শীতে অজু ও নামাজ নিয়ে যা বলেছেন বিশ্বনবি
- যেভাবে দোয়া করলে আল্লাহ তাআলা অবশ্যই তা কবুল করবেন
- যেসব ফেতনা প্রকাশ পাবে কেয়ামতের পূর্বে