ঢাকা, সোমবার   ২৪ জুন ২০২৪ ||  আষাঢ় ১০ ১৪৩১

ঘরের ওয়াই-ফাই হ্যাক হলে বুঝবেন যেসব লক্ষণে

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১২:২৫, ১২ জুন ২০২৪  

ঘরের ওয়াই-ফাই হ্যাক হলে বুঝবেন যেসব লক্ষণে

ঘরের ওয়াই-ফাই হ্যাক হলে বুঝবেন যেসব লক্ষণে

ঘরের ওয়াই-ফাই হ্যাকারদের হাত থেকে নিরাপদ রাখা খুবই কঠিন একটি কাজ। অনেকেই হয়তো বুঝতে পারেন না যে, হ্যাকাররা হোম নেটওয়ার্কও ব্যবহার করতে পারে।উল্লেখ্য, যতক্ষণ ইন্টারনেট বিদ্যমান থাকবে, সাইবার অপরাধীরা প্রাইভেট ডাটা চুরি করার উপায় খুঁজবে ততক্ষণ।

এর মধ্যে রয়েছে ব্যাংকের বিবরণ, ব্যক্তিগত কথোপকথন, ফটো এবং অন্যান্য সংবেদনশীল ডাটা অ্যাক্সেস করা। আমাদের ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্ক সিস্টেম কোনোভাবে হ্যাকারদের হাতে চলে গিয়েছে কি না তা নির্ধারণ করার জন্য নির্দিষ্ট সতর্কতা চিহ্ন রয়েছে। এই লক্ষণগুলো দেখলে সতর্ক হোন।

> ইন্টারনেটের গতি ধীর হয়ে যাওয়া: যদি ইন্টারনেট সংযোগ হঠাৎ কমে যায়, তাহলে এটি আমাদের হোম নেটওয়ার্ক হ্যাক হওয়ার লক্ষণ। এটি আরো বেশি সন্দেহজনক হয়ে ওঠে যখন ইন্টারনেট প্রদানকারী বা আমাদের ডিভাইসে কোনো সমস্যা না থাকে।

> অপরিচিত ডিভাইস বা আইপি অ্যাড্রেস: আমাদের রাউটারে কিছু অপরিচিত ডিভাইস শনাক্ত হয়। এর একটি কারণ হতে পারে যে হ্যাকাররা সংবেদনশীল তথ্যের জন্য ওই রাউটার অ্যাক্সেস করার চেষ্টা করছে। নিশ্চিত করতে, ডিভাইসের আইপি ঠিকানা দিয়ে লগ ইন করে সংযোগের তালিকা পর্যালোচনা করা উচিত।

> হঠাৎ ওয়াই-ফাই পাসওয়ার্ড পরিবর্তন: ওয়াই-ফাই পাসওয়ার্ড পরিবর্তিত হয়েছে এমন পরিস্থিতিও আসে যখন আমাদের রাউটারের পাসওয়ার্ড হঠাৎ করে পরিবর্তন করা হয়, কোনো কারণ ছাড়াই। এটিও হ্যাকিংয়ের লক্ষণ।

> ডিভাইসে অচেনা সফটওয়্যার: ডিভাইসে অচেনা সফটওয়্যার হ্যাকাররা রাউটারগুলোকে টার্গেট করতে এবং গুরুত্বপূর্ণ তথ্য চুরি করতে আমাদের ডিভাইসে ম্যালওয়্যার ইনস্টল করতে পারে। যদি এই ধরনের কোনো অস্বাভাবিক সফটওয়্যারের খোঁজ পান, তাহলে এটি হ্যাকিং আক্রমণকে নির্দেশ করতে পারে।

> ব্রাউজার হাইজ্যাকিং: এই ক্ষেত্রে হ্যাকাররা রাউটারে লগ ইন করতে এবং এর ডোমেন নেম সিস্টেম সেটিংস পরিবর্তন করতে সক্ষম হয়, তারা আমাদের রাউটারের মাধ্যমে সব ইন্টারনেট ট্র্যাফিককে একটি পলিউটেড ডিএনএস সার্ভারে রিডায়রেক্ট করে, এভাবে নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটগুলো লক করে তথ্য চুরি এবং ম্যালওয়ার সফটওয়্যার ইনস্টল করে।

সর্বশেষ
জনপ্রিয়