চল্লিশের শ্রেয়া ২৮১ কোটি টাকার মালিক
নিউজ ডেস্ক
![চল্লিশের শ্রেয়া ২৮১ কোটি টাকার মালিক চল্লিশের শ্রেয়া ২৮১ কোটি টাকার মালিক](https://www.sherpurnews.com/media/imgAll/2020Aprila/New-Project---2024-06-28T145839509-2406280858.jpg)
চল্লিশের শ্রেয়া ২৮১ কোটি টাকার মালিক
ভারতীয় সংগীতশিল্পী শ্রেয়া ঘোষাল। ১৯৮৪ সালের ১২ মার্চ পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলার বহরমপুরে জন্মগ্রহণ করেন। রাজস্থানের কোটার নিকটবর্তী রাওয়াতভাতা শহরে বেড়ে ওঠেন। এই বাঙালি গায়িকার পিতার নাম বিশ্বজিৎ ঘোষাল, মা শর্মিষ্ঠা ঘোষাল।মাত্র চার বছর বয়সে সংগীতচর্চা শুরু করেন শ্রেয়া ঘোষাল। শুরুতে শ্রেয়ার গুরু ছিলেন তার মা। প্রথম স্টেজ পারফরম্যান্স করেন তাদের ক্লাবের বার্ষিক অনুষ্ঠানে। এখান থেকেই তার গানের ক্যারিয়ার গড়ার যাত্রা শুরু। মাত্র ৬ বছর বয়সে হিন্দুস্তানি শাস্ত্রীয় সংগীতের আনুষ্ঠানিক প্রশিক্ষণ শুরু করেন তিনি। তার মা-বাবা তাকে মহেশচন্দ্র শর্মার কাছে হিন্দুস্তানি শাস্ত্রীয় সংগীতের প্রশিক্ষণের জন্য ভর্তি করেন।
মুম্বাইয়ের কোটা এবং অনুশক্তিনগরে অ্যাটমিক এনার্জি সেন্ট্রাল স্কুলে পড়াশোনা করেছেন শ্রেয়া ঘোষাল। স্নাতকের জন্য আর্টস স্ট্রিম কলেজে ভর্তি হন। ১৬ বছর বয়সে জি টিভির ‘সা রে গা মা পা’ গানের প্রতিযোগিতায় শিশুদের বিশেষ পর্বে অংশগ্রহণ করে বিজয়ী হন। এই রিয়েলিটি শোটি পরিচালনা করেছিলেন জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী সোনু নিগম।ওই সময়ে এই প্রতিযোগিতার বিচারক ও সুরকার কল্যাণজি বীরজি শাহের নজর কাড়েন শ্রেয়া। পরবর্তীতে তার পরামর্শে শ্রেয়ার পরিবার মুম্বাইয়ে চলে যায়। কল্যাণজির কাছে দেড় বছর তালিম গ্রহণ করেন শ্রেয়া। পরবর্তীতে মুক্তা ভিড়ের কাছে শাস্ত্রীয় সংগীতের তালিম নেন তিনি।রিয়েলিটি শো ‘সা রে গা মা পা’-তে দ্বিতীয়বারের মতো অংশ নেন শ্রেয়া। তখন চলচ্চিত্র পরিচালক সঞ্জয় লীলা বানসালির নজরে পড়েন। ২০০০ সালে সঞ্জয় লীলা বানসালি শ্রেয়াকে তার নির্মিত ‘দেবদাস’ সিনেমার গান গাওয়ার প্রস্তাব দেন। পার্বতী চরিত্র রূপায়নকারী ঐশ্বরিয়া শ্রেয়ার গানে ঠোঁট মেলান। সিনেমাটির পাঁচটি গান গেয়েছিলেন শ্রেয়া।
‘দেবদাস’ সিনেমা মুক্তির পর শ্রেয়া ঘোষালের গাওয়া ‘বৈরী পিয়া’ আর ‘ডোলা রে’ শিরোনামের গানটি দর্শকদের মুখে মুখে ছিল। ‘দেবদাস’ সিনেমায় শ্রেয়ার গান গাওয়ার সুযোগ পাওয়ার পেছনে আরেকটি গল্প রয়েছে। রিয়েলিটি শো ‘সারে গা মা পা’ নিয়মিত দেখতেন সঞ্জয় লীলা বানসালির মা লীলা বানসালি। মূলত, পুত্র সঞ্জয় লীলাকে সংগীতশিল্পী শ্রেয়া ঘোষালের কথা প্রথম বলেন লীলা বানসালি।
এরপর শ্রেয়া ঘোষালকে আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি। অসংখ্য সিনেমার গান কণ্ঠে তুলেছেন তিনি। শ্রেষ্ঠ প্লেব্যাক গায়িকা হিসেবে সবচেয়ে বেশি পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। ভারতের ইতিহাসে মাত্র ২৬ বছর বয়সে চারবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পাওয়া একমাত্র গায়িকা শ্রেয়া ঘোষাল।
যশ-খ্যাতি যেমন কুড়িয়েছেন, তেমনি অঢেল অর্থের মালিকও হয়েছেন ৪০ বছর বয়সি শ্রেয়া ঘোষাল। ম্যাশেবল ইন্ডিয়ার তথ্য অনুসারে, শ্রেয়া ঘোষাল বিভিন্ন ভাষার ৩ হাজার গান কণ্ঠে তুলেছেন। প্রতি বছর তার আয় ৩.৭ কোটি রুপি। তার মোট সম্পত্তির পরিমাণ ২০০ কোটি রুপি (বাংলাদেশি মুদ্রায় ২৮১ কোটি ২৫ লাখ টাকার বেশি)।
- বুইড়া বয়সে মনে এতো জ্বালা কেনো: মৌসুমী
- ‘ফ্রড-দ্য বাটপার’-এ নাম লেখালেন ববি
- ‘হ্যাঁ, আমি বিবাহিত: দীঘি
- পদ্মা সেতুকেও ছাড়লোনা হিরো আলম!
- পদ্মা সেতু নিয়ে গান ও সিনেমা
- কৃষ্ণাঙ্গ মডেলের সঙ্গে শ্রাবন্তী, নেটিজেনদের ভিন্ন ইঙ্গিত
- বাদাম বিক্রি অতীত, গান গেয়েই বাড়ি, গাড়ি আর আইফোন ১৩ হাতে পেয়ে গেলেন বাদাম কাকু
- শ্রাবন্তীর চার নম্বর হবু বরকে মেনে নিলো পরিবার
- জঙ্গলে বেবি বাম্প নিয়ে পরীমনি
- ইতিহাস রচনা করেছেন অভিনেত্রী বাঁধন