ঢাকা, মঙ্গলবার   ২৫ জুন ২০২৪ ||  আষাঢ় ১১ ১৪৩১

প্রতিদিন অ্যাভোকাডো খাওয়ার উপকারিতা

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৮:২৩, ১৪ জুন ২০২৪  

প্রতিদিন অ্যাভোকাডো খাওয়ার উপকারিতা

প্রতিদিন অ্যাভোকাডো খাওয়ার উপকারিতা

পৃথিবীতে পুষ্টিকর ফলগুলোর মধ্যে অ্যাভোকাডো একটি। যার জনপ্রিয়তা দিন দিন বেড়েই চলেছে। এই ফলটি সালাদের সঙ্গে খেয়ে থাকেন অনেকেই। ফলটি মসৃণ ক্রিমযুক্ত টেক্সচারের হওয়ায় আজকাল অনেকেই মেয়োনিজের জায়গায় ম্যাশড অ্যাভোকাডো ব্যবহার করছেন। তাছাড়া অ্যাভোকাডোর রয়েছে বিভিন্ন সুস্বাদু রেসিপিও।

পুষ্টিবিদেরা বলছেন, অ্যাভোকাডোর মধ্যে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান রয়েছে। তাই প্রদাহজনিত ব্যথা-যন্ত্রণা নিরাময়ের ক্ষমতা রয়েছে এই ফলের। এর মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ প্রোটিন, খনিজ পদার্থ, ভিটামিন এ, সি, ই ও কে। আছে প্রচুর পটাসিয়াম, যা কলার চেয়ে ৬০ ভাগ বেশি। ১৮ ধরনের অ্যামাইনো অ্যাসিড, ৩৪% স্যাচুরেটেড ফ্যাট। অ্যাভোকাডোতে স্বাস্থ্যকর ফ্যাটের পরিমাণ বেশি। অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট হিসেবেও কাজ করে। অর্থাৎ শরীর থেকে দূষিত পদার্থ বের করতে সহায়তা করে।

রোগ প্রতিরোধ করে: অ্যাভোকাডোতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি রয়েছে। আর ভিটামিন বি শরীরকে রোগ জীবাণু থেকে রক্ষা করে। এছাড়া অ্যাভাকাডোতে যে ভিটামিন সি, ভিটামিন ই এবং উদ্ভিজ্জ খনিজ রয়েছে তা ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে।

হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমায়: রক্তচাপ কমাতে, ট্রাইগ্লিসারাইড কমাতে এবং ধমনী ফলকের ধীর বিকাশ ঘটাতে অ্যাভোক্যাডো খুবি উপকারী। তাছাড়া অস্বাভাবিক হার্ট স্পন্দন, হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোকের সম্ভাবনা হ্রাস করতে অ্যাভোকাডোর তুলনা নেই।

হজমে সহায়তা করে: প্রতিদিনের খাবার তালিকায় অ্যাভোকাডো রাখলে আপনার খাবার খুব ভালোভাবে হজম হবে। সেই সঙ্গে কোষ্ট্যকাঠিন্যের মতো সমস্যা দূর হবে। একটি অ্যাভোকাডোতে ১০ গ্রামের মতো ফাইবার থাকে।

দৃষ্টিশক্তি উন্নত করে: অ্যাভোকাডোতে ২টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ক্যারোটিনয়েড থাকে- লুটেন এবং জেক্সানথিন। ক্যারোটিনয়েডগুলো অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা আপনার শরীর থেকে ফ্রি র্যাডিকালগুলো সরিয়ে দেয়। লুটেইন এবং জেক্সানথিন উভয়ই চোখের স্বাস্থ্যের জন্য প্রয়োজনীয়। এই দুটি ক্যারোটিনয়েড আলাদা আলাদাভাবে কাজ করে, তবে একসঙ্গে আরো ভালো কাজ করে। এর ফলে চোখে ছানিও পড়ে না।

ঘুম ভালো হয়: অ্যাভোকাডোতে যে ম্যাগনেসিয়াম থাকে তা শরীরের ক্লান্তি দূর করে এবং ভালো ঘুম হতে সাহায্য করে।

চুল ও ত্বকের যত্নে: পেন্টোথেনিক অ্যাসিড (ভিটামিন বি ৫) প্রায় প্রতিটি ত্বক এবং চুলের যত্নের তৈরি প্রসাধনীতে থাকে। অ্যাভোকাডোতে প্যান্টোথেনিক অ্যাসিডের ৪৫% আরডিএ থাকে। যা ত্বক ময়েশ্চারাইজ করতে সহায়তা করে এবং ক্ষত নিরাময়ে সহায়তা করে। এটি ত্বকে ব্রণ ও ব্রণের দাগও নিরাময়ে সহায়তা করে। ত্বকের বয়স ধরে রাখতে অ্যাভোকাডো দিয়ে তৈরি ফেসপ্যাক খুবই কার্যকরী। তাছাড়া অ্যাভোকাডো তেল ব্যবহারে চুল ঘন, কালো ও মজবুত হয়।

সর্বশেষ
জনপ্রিয়