ঢাকা, বুধবার   ০৩ জুলাই ২০২৪ ||  আষাঢ় ১৮ ১৪৩১

বারোমাসি শাক-সবজিতে সয়লাব শেরপুর সীমান্ত অঞ্চল

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১২:০৮, ১ জুলাই ২০২৪  

বারোমাসি শাক-সবজিতে সয়লাব শেরপুর সীমান্ত অঞ্চল

বারোমাসি শাক-সবজিতে সয়লাব শেরপুর সীমান্ত অঞ্চল

বারোমাসি রকমারি শাক-সবজিতে ভরে গেছে শেরপুর সীমান্ত অঞ্চল। সীমান্তবর্তী শেরপুর জেলার পাহাড়ি অঞ্চলে নানা প্রকারের আগাম বারোমাসি শাক-সবজি ক’বছর ধরেই শেরপুর জেলা এবং ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় যোগান দিচ্ছে।ঝিনাইগাতী, শ্রীবরদী ও নালিতাবাড়ী উপজেলার সীমান্ত অঞ্চলের কৃষকরা জানান, এবারো প্রতিকূল আবহাওয়া সত্বেও আগাম শাক-সবজির আবাদ করে বেশ লাভবান হচ্ছেন। সীমান্ত অঞ্চলের কৃষকরা ক’বছর ধরেই অপেক্ষাকৃত উঁচু জমিতে বারোমাসি শাক-সবজি এবং ফলের আবাদ করে আসছেন। উঁচু জমিতে ধানের আবাদে পোষায় না। ফলে লাভজনক হওয়ায় ধানের পর একটি আগাম জাতের শাক-সবজির আবাদ করে চলেছেন। শাক-সবজির আবাদে তারা ক্রমাগত লাভের মুখ দেখছেন। ফলে দিন দিন বাড়ছে শাক-সবজির আবাদ। বাড়ছে শাক-সবজি চাষে ঝুঁকে পড়া কৃষকের সংখ্যা।
ঝিনাইগাতী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ হুমায়ুন দিলদার জানান, ঝিনাইগাতী গারো পাহাড়ে শাক-সবজি চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে ১ হাজার ২০০ হেক্টর।
শ্রীবরদী উপজেলার রাজার পাহাড় ঘুর এসে শেরপুর কৃষি বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক (উদ্ভিদ সংরক্ষণ) কৃষিবিদ হুমায়ুন কবির বলেন, শুধু রাজার পাহাড়েই বরবটির আবাদ হয়েছে ৪০ হেক্টরে। পাহাড়ের উপরে এক লেবুর বাগান গড়ে উঠেছে ১০ একরজুড়ে।
সাফল্য দেখে গারোকুনা, হলদিগ্রাম, জারুনতলা, মানিককুড়া ইত্যাদি গ্রামে দেখা যায়, সবজির আবাদে ভরে গেছে। বাড়ির আঙিনায়তো বটেই উঁচু পাহাড়ি জমিতে করলা, চিচিঙা, বেগুন, লাউ, মূলা, ঝিঙে, কদু, কাকরোল, ঢেরস, কুমড়া, বরবটি, লাল শাক, পুইশাক, লাউশাক, পালং শাক, ডাটাসহ রকমারি শাক-সবজিতে ভরে গেছে পাহাড়ি অঞ্চলের মাঠের পর মাঠ।
হলদিগ্রামের কয়েকজন কৃষক জানান, সীমান্ত অঞ্চলে কৃষকরা শাক-সবজি ও ফল চাষে বেশ লাভবান হচ্ছেন। শাক-সবজি ও ফলের আবাদ করে পাহাড়ি অঞ্চলে কৃষি বিপ্লব ঘটিয়েছেন। লাভজনক হওয়ায় এবং ভাল দাম পেয়ে বেজায় খুশি তারা।
এদিকে পাহাড়ি কৃষক-কৃষানীরা ব্যস্ত সময় পার করছেন শাক-সবজি ও ফলের ক্ষেত পরিচর্যায়। কেউ শাক- সবজি ক্ষেতে সেচ দিচ্ছেন কেউবা করছেন স্প্রে। কেউ ক্ষেত থেকেই পাইকারি বিক্রি করছেন শাক-সবজি। শাক-সবজি বিক্রির জন্য গারোকোনা ও হলদিগ্রামে এবং সন্ধাকুড়াসহ গারো পাহড়ের হলদিগ্রাম চৌরাস্তায় গড়ে উঠেছে শাক-সবজি বাজার। বাজার থেকে উপজেলা-জেলা সদর এমনকি ঢাকা অথবা অন্যন্য স্থানের পাইকাররা কিনে নিয়ে যাচ্ছেন শাক-সবজি। কেউবা নিজেই ট্রাক ভর্তি শাক-সবজি বিক্রির জন্য নিয়ে যাচ্ছেন ঢাকা বা অন্যত্র।
ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আশরাফুল আলম রাসেল জানান, সীমান্তবর্তী এলাকার জমিতে বারোমাসি শাক-সবজির আবাদে স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে দেশের অন্যান্য স্থানেও যাচ্ছে। এটি একটি ভাল খবর। এতে কৃষকরা যেমন লাভবান হচ্ছেন। অনুরুপ স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে দেশের অন্যান্য জেলারও চাহিদা মিটছে।

সারাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
সর্বশেষ
জনপ্রিয়