ঢাকা, সোমবার   ০৮ জুলাই ২০২৪ ||  আষাঢ় ২৪ ১৪৩১

বিএনপির বড় বড় নেতা আতঙ্কে আছেন : কাদের

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৫:২৩, ৫ জুলাই ২০২৪  

বিএনপির বড় বড় নেতা আতঙ্কে আছেন : কাদের

বিএনপির বড় বড় নেতা আতঙ্কে আছেন : কাদের

বিএনপির বড় বড় নেতা পদ থেকে বাদ পড়ার আতঙ্কে রয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি গত বুধবার সাভারের হেমায়েতপুর বাসস্ট্যান্ডে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনাসভায় এ মন্তব্য করেন। আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভাটির আয়োজন করা হয়।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপির মনের জোর কমে গলার জোর বেড়ে গেছে।একটা কথা আছে, মানুষের শক্তি যত কমে, মুখের বিষ তত উগ্র হয়। বিএনপি নেতাদের মুখের কোনো ট্যাক্স নাই। তাদের মুখে কোনো লাগাম নাই। লাগাম দিয়ে টানবেন? লাগাম দিয়ে টেনে লাভ নাই।বিএনপি বেপরোয়া গাড়ি চালায়। কখন কোথায় দুর্ঘটনা ঘটে কেউ জানে না।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপি কে চালায়? খালেদা জিয়া? বিএনপি চালায় লন্ডন থেকে রিমোট কন্ট্রোলের মাধ্যমে। সড়কপথে নয়, নদীপথে নয়, আকাশপথে বিএনপি চলে।

আকাশপথে ডাক আসে। বিএনপির নেতাদের দিনের আহার, রাতের ঘুম হারাম হয়ে গেছে। কখন তারেক রহমানের ডাক আসে, কখন কার চাকরি নট হয়ে যায়। মির্জা ফখরুল সাহেবও শান্তিতে নাই। বড় বড় নেতারা আতঙ্কে আছেন।কখন কার গদি শেষ হয়ে যায়, এ জন্য তাঁরা তারেক আতঙ্কে আছেন। এ জন্য তাঁদের রাতের ঘুম হারাম।’

বিএনপির নতুন কমিটি সম্পর্কে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘নতুন কমিটি কেউ জানে? নতুন কমিটি ভুয়া, বিএনপি ভুয়া। নতুন কমিটির নতুন কর্মসূচি ভুয়া। আন্দোলন কবে হবে? ঈদের পরে, এ বছর না পরের বছর। দিন যায়, মাস যায়, বছর যায়, আন্দোলন আর হয় না। মরা গাঙে জোয়ার আর আসে না। বিএনপির হাত, আন্দোলনের হাত ভেঙে গেছে। এখন তারা পরনির্ভর। এখন তারা করছে পরনিন্দা, গিবত। ’

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন,দুপুরবেলা শিক্ষকদের আন্দোলন এবং কোটা আন্দোলনে বিএনপি সমর্থন দিয়েছে। কোটা আন্দোলন আগেও ছিল, এখনো আছে। তাদের ওপর ভর করে আন্দোলন করছে বিএনপি। পরনির্ভর হলে আন্দলন হয়? তারা ভয় দেখায় ভারত নিয়ে। তারা বলে, বাংলাদেশ ইন্ডিয়া হয়ে গেল। তারা বলে, শেখ হাসিনা ইন্ডিয়া গেলে কিছুই আনতে পারেন না। ৬৮ বছরের সীমান্ত সমস্যার সমাধান করা হয়েছে। তাদের সঙ্গে ২৫ বছরের মৈত্রী চুক্তি ছিল বলে ছিটমহল সমস্যা ও সীমান্ত সমস্যার সমাধান হয়েছে। গঙ্গা নদীর পানি আমরা বুঝে পেয়েছি।’ 

দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকারের অবস্থান তুলে ধরে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘দেশকে দুর্নীতিমুক্ত করতেই হবে। শেখ হাসিনার অঙ্গীকার আমরা অক্ষরে অক্ষরে পালন করেই ছাড়ব। একটা কথা বলি, মন্ত্রী যদি সৎ হন, সচিব যদি সৎ হন, ওই মন্ত্রণালয়ে দুর্নীতি হবে না। আমরা জনপ্রতিনিধিরা সৎ হলে দুর্নীতি পালিয়ে যাবে।’

আলোচনাসভায় সভাপতিত্ব করেন ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সংসদ সদস্য বেনজীর আহমদ। বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কামরুল ইসলাম, স্থানীয় সংসদ সদস্য সাইফুল ইসলাম, সাভার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরুল আলম রাজীব প্রমুখ।

রাজনীতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
সর্বশেষ
জনপ্রিয়