ঢাকা, শুক্রবার   ০৫ জুলাই ২০২৪ ||  আষাঢ় ২০ ১৪৩১

‘লাহাওলা ওয়ালা কুয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহ’

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৬:৩২, ২ জুলাই ২০২৪  

‘লাহাওলা ওয়ালা কুয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহ’

‘লাহাওলা ওয়ালা কুয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহ’

মহান রাব্বুল আলামি আল্লাহ তায়ালা এই দুনিয়াতে যত রোগ দিয়েছেন; তার চেয়ে রোগ নিরাময়ের ওষুধ দিয়েছেন বেশি। রোগ নিরাময়ের তেমনি এক দোয়া আছে যা পড়লে ৯৯ রোগ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। 

দোয়াটি হচ্ছে, لاَ حَوْلَ وَلاَ قُوَّةَ إِلاَّ بِاللهِ

উচ্চারণ: ‘লাহাওলা ওয়ালা কুয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহ’

অর্থ: ‘আল্লাহ ব্যতীত অনিষ্ট দূর করার এবং কল্যাণ লাভের কোনো শক্তি কারো নেই’। (তিরমিজি, হাদিস: ৩৫৮১)

আবু মুসা আশআরি (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুল (সা.) একবার আমাকে বললেন, ‘তোমাকে জান্নাতের অন্যতম ধনভাণ্ডারের কথা কি বলে দেব?’ আমি বললাম, অবশ্যই বলে দিন, হে আল্লাহর রাসূল! তিনি বললেন, ‘লাহাওলা ওয়ালা কুয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহ’। (বুখারি, হাদিস : ২৯৯২; মুসলিম, হাদিস : ২৭০৪, তিরমিজি, হাদিস : ৩৩৭৪; আবু দাউদ, হাদিস : ১৫২৬ 

আবু জর (রা.) থেকে বর্ণনা করেন, রাসুল (সা.) আমাকে একবার বললেন, ‘আমি কি তোমাকে জান্নাতের গুপ্তধনগুলোর একটির সন্ধান দেবো না? আমি বললাম, হ্যাঁ, আল্লাহর রাসূল। তিনি বলেন, ‘লাহাওলা ওয়ালা কুয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহ’। (আহমাদ, হাদিস : ২০৮২৯)

হাজিম ইবনে হারমালা (রা.) বলেন, আমি নবী (সা.) এর নিকট দিয়ে যাচ্ছিলাম। তিনি আমাকে বলেন, ‘হে হাজিম! তুমি অধিক সংখ্যায় ‘লাহাওলা ওয়ালা কুয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহ’ বাক্যটি পড়ো। কেননা তা হলো জান্নাতের গুপ্তধন’। (বুখারি, হাদিস ৪২০৪, ৬৩৮৪, ৬৪০৯, ৭৩৮৬, মুসলিম ৫৮৯, 

কাইস ইবনু সাদ ইবনু উবাদাহ (রা.) হতে বর্ণিত আছে, আমি নামাজরত থাকা অবস্থায় নবী (সা.) আমার কাছ দিয়ে গমন করলেন। তিনি নিজের পা দিয়ে আমাকে আঘাত (ইশারা) করে বললেন, আমি তোমাকে কি জান্নাতের দরজাগুলোর একটি দরজা সম্পর্কে জানাব না? আমি বললাম, হ্যাঁ। তিনি বললেন, ‘লাহাওলা ওয়ালা কুয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহ’। (তিরমিজি, হাদিস : ৩৫৮১)

কায়স (রা.) বলেন, রাসূল (সা.) আমার পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন। আমি তখন মাত্র নামাজ শেষ করেছি। তিনি আমাকে তার কদম মুবারক দিয়ে আঘাত করলেন। বললেন, জান্নাতের দরজাগুলোর একটি কি তা আমি তোমাকে বলবো? আমি বললাম, অবশ্যই। তিনি বললেন, ‘লাহাওলা ওয়ালা কুয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহ’।
(সুনান তিরমিজি, হাদিস: ৩৫৮১)

লা হাওলা ওয়ালা কুওওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ পাঠে সাগরের ফেনা পরিমাণ গুনাহ মাফ হয়

আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) বর্ণনা করেন, রাসূল (সা.) বলেছেন, পৃথিবীর বুকে যে ব্যক্তি বলে, ‘লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার, ওয়া লা-হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ’ তার অপরাধগুলো ক্ষমা করে দেওয়া হয়, যদিও তা সাগরের ফেনারাশির মতো (বেশি পরিমাণ) হয়। (তিরমিজি, হাদিস: ৩৪৬০)

অর্থ: ‘আল্লাহ তাআলা ছাড়া কোনো উপাস্য নেই, আল্লাহ সুমহান, আল্লাহর সাহায্য ছাড়া পাপমুক্তির কোনো পথ নেই, আল্লাহর সাহায্য ছাড়া ইবাদতের কোনো শক্তি নেই’।

ফজিলত: পবিত্র হাদিস শরিফে উল্লেখ্য আছে, উল্লিখিত দোয়াটি ৯৯ রোগের মহৌষধ। তবে সর্বনিম্ন রোগ হলো দুশ্চিন্তা।

সর্বশেষ
জনপ্রিয়