ঢাকা, শুক্রবার   ০৫ জুলাই ২০২৪ ||  আষাঢ় ২১ ১৪৩১

সার্বভৌমত্ব কোথায় যাবে বিএনপিকে প্রশ্ন সেতুমন্ত্রীর

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১০:০০, ৩ জুলাই ২০২৪  

সার্বভৌমত্ব কোথায় যাবে বিএনপিকে প্রশ্ন সেতুমন্ত্রীর

সার্বভৌমত্ব কোথায় যাবে বিএনপিকে প্রশ্ন সেতুমন্ত্রীর

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরে সই হওয়া ১০ সমঝোতায় দেশের 'স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব দুর্বল হয়ে যাবে' বলে বিএনপির পক্ষ থেকে যে বক্তব্য এসেছে তাকে কটাক্ষ করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, '৫৩ বছর ধরেই স্বাধীনতা নিয়ে টিকে আছে বাংলাদেশ।'দলের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্‌যাপনের অংশ হিসেবে সোমবার বিকালে তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের অফিসে সামনে এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

বিএনপির বক্তব্যের জবাব দিতে গিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, 'গেল রে গেল, সব নাকি ইন্ডিয়া হয়ে গেল। গেল রে গেল, স্বাধীনতা গেল; গেল রে গেল সার্বভৌমত্ব গেল। কোথায় গেল? ৫৩ বছর আমরা স্বাধীনতা নিয়ে টিকে আছি। কোথায় যাবে (স্বাধীনতা)? ভারত আমাদের বন্ধু।'

বঙ্গবন্ধু ভারতের সঙ্গে ২৫ বছরের মৈত্রী চুক্তি করে গেছেন বলেই আজকে ৬৮ বছরের সীমান্ত সমস্যার সমাধান হয় মন্তব্য করে তিনি বলেন, 'আরেকটা বাংলাদেশের সমান সমুদ্র সীমা আমরা ভারতের কাছ থেকে আদায় করতে পেরেছি, শান্তিপূর্ণভাবে ছিটমহল বিনিময় হয়েছে।'

প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরে এবার কোনো চুক্তি হয়নি জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, 'মির্জা ফখরুল সাহেব, সমঝোতা স্মারক আর চুক্তি, এই দুইটা কি এক? পড়াশোনা করেন না? ডিপেস্নাম্যাসি ভাষা জানেন না? জেনে নেন, সমঝোতা স্মারক আর চুক্তি এক কথা নয়।'

বিএনপিও ভারতের দাসত্ব চেয়েছিল মন্তব্য করে তিনি বলেন, 'মনে আছে, নরেন্দ্র মোদি যখন ক্ষমতায় আসেন, প্রথম দিন সকাল বেলায় ঘুম থেকে ওঠে বিএনপি নেতারা ভারতের হাইকমিশনের সামনে হাজির। হাইকমিশন বন্ধ, মিষ্টি আর ফুল নিয়ে হাজির। এই হচ্ছে বিএনপি। এরা ভারত বিরোধিতা করে কিন্তু ভারতের কাছে ওয়াশিংটনের ইচ্ছায় গ্যাস বিক্রি করার অঙ্গীকার করে ২০০১ সালে ক্ষমতায় এসেছে।'

বিএনপি সরকারের বিরুদ্ধে আবার আন্দোলনের হুমকি দিলেও দলটি নিজেরাই স্বস্তিতে নেই দাবি করে আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, 'বিএনপির চোখে ঘুম নেই, ঘুম হারাম হয়ে গেছে।'

মির্জা ফখরুলের চোখে 'অশান্তির আগুন' মন্তব্য করে তিনি বলেন, 'আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে আন্দোলন করবে কখন? তারা নিজেরা নিজেদের বিশ্বাস করে না। কেউ কাউকে পছন্দ করে না, বলে 'সরকারের এজেন্ট'। একেকজন আরেকজনকে বলে সরকারের এজেন্ট। তাদের আন্দোলন ভুয়া।'

সভায় সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, সঞ্চালনা করছেন সাধারণ সম্পাদক এস এ মান্নান কচি।

রাজনীতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
সর্বশেষ
জনপ্রিয়