ঢাকা, বুধবার   ০৩ জুলাই ২০২৪ ||  আষাঢ় ১৯ ১৪৩১

‘সুন্দরবনের মধু’ বাংলাদেশের জিআই পণ্য হিসাবে নিবন্ধিত হচ্ছে

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৪:৩০, ১ জুলাই ২০২৪  

‘সুন্দরবনের মধু’ বাংলাদেশের জিআই পণ্য হিসাবে নিবন্ধিত হচ্ছে

‘সুন্দরবনের মধু’ বাংলাদেশের জিআই পণ্য হিসাবে নিবন্ধিত হচ্ছে

‘সুন্দরবনের মধু’ বাংলাদেশের ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্য হিসাবে নিবন্ধিত হচ্ছে। এ বিষয়ে বাগেরহাটের জেলা প্রশাসকের আবেদন পর্যালোচনা করে প্রাপ্ত তথ্যাদি জার্নাল আকারে প্রস্তুত করে বিজি প্রেসে পাঠানো হয়েছে। জার্নাল প্রকাশের তারিখ থেকে দুই মাস সময়ের মধ্যে তৃতীয় কোনো পক্ষের আপত্তি বা বিরোধিতা না পাওয়া গেলে পণ্যটিকে ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য হিসাবে নিবন্ধন দেওয়া হবে। শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন প্রতিষ্ঠান পেটেন্ট, শিল্প-নকশা ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তর (ডিপিডিটি) বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

শিল্প মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয় ‘সুন্দরবনের মধু’ পণ্যটিকে জিআই পণ্য হিসাবে নিবন্ধনের জন্য ২০১৭ সালের ৭ আগস্ট আবেদন করে বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক। ডিপিডিটি আবেদনটি পরীক্ষা শেষে প্রয়োজনীয় আরও তথ্যের জন্য অনুরোধ জানায়। এরপর সুন্দরবনের মধুর পুষ্টিগুণ বিষয়ে বিএসটিআই একটি প্রতিবেদন প্রস্তুত করে ডিপিডিটিকে পাঠায়। এছাড়াও চাহিদা অনুসারে অন্য তথ্য না পাওয়ায় এ বিষয়ে শুনানি গ্রহণ করে বাগেরহাটের জেলা প্রশাসনে তথ্য চাওয়া হয়। চলতি বছরের ২৭ জুন (বৃহস্পতিবার) এ ব্যাপারে পুনরায় তথ্য দাখিল করে জেলা প্রশাসন।

সম্প্রতি সুন্দরবনের মুধকে নিজ দেশের জিআই হিসাবে স্বীকৃতি দেয় ভারত। কিন্তু বিশ্বের সবচেয়ে বড় এই ম্যানগ্রোব বনের মোট আয়তন ১০ হাজার বর্গকিলোমিটারের মধ্যে ৬৬ শতাংশই বাংলাদেশে। বাকি ৩৪ শতাংশ ভারতে। এ বন থেকে বাংলাদেশে প্রতি বছর মধু আহরণ হয় ৩০০ টন। কিন্তু ভারতে সাত বছরের গড় হিসাবে প্রতিবছর মধু সংগ্রহ হয়েছে ১৫৭ টন। সুন্দরবনের অধিকাংশ জায়গা ও মধু আহরণে বাংলাদেশে অনেক এগিয়ে থাকলেও জিআই স্বীকৃতি নেয় ভারত। বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক হলে তড়িঘড়ি বাংলাদেশও সুন্দর বনের মধুকে জিআই স্বীকৃতি দেওয়ার উদ্যোগ নেয়।

সর্বশেষ
জনপ্রিয়