ঢাকা, মঙ্গলবার   ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||  আশ্বিন ১ ১৪৩১

সড়কে গাড়ি চালাচ্ছেন চালকেরা, নেই চাঁদাবাজি

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১২:৩১, ২৫ আগস্ট ২০২৪  

সড়কে গাড়ি চালাচ্ছেন চালকেরা, নেই চাঁদাবাজি

সড়কে গাড়ি চালাচ্ছেন চালকেরা, নেই চাঁদাবাজি

আগে ময়মনসিংহ নগরীর কেওয়াটখালী থেকে বাইপাস যাওয়ার রাস্তায় সিটি কর্পোরেশনের নামে প্রকাশ্যে চাঁদা আদায় করত কয়েকজন যুবক। এছাড়াও বিভিন্ন সংগঠনের নামে শম্ভুগঞ্জ চৌরাস্তা মোড়ে সিএনজিচালিত অটোরিকশা থেকে চাঁদা আদায় করা হতো। যানবাহন থেকে নিয়মিত চাঁদা নেয়া হতো চরপাড়া মোড়সহ আকুয়া-রহমতপুর বাইপাস সড়কে। এখন আর সেই চিত্র নেই। 

বিভিন্ন যানবাহনের চালকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রতিদিন নগরীর বিভিন্ন পয়েন্টে সিটি কর্পোরেশন ও সংগঠনের নামে যানবাহনের চালকদের হাতে অবৈধ রশিদ ধরিয়ে বিপুল অঙ্কের চাঁদা আদায় করা হতো। চালকেরা অতিষ্ঠ থাকলেও কিছুই করার ছিল না। কারণ, কখনো কোনো চালক টাকা দিতে না চাইলে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করাসহ গালিগালাজ করে অপদস্ত করা হতো। বর্তমানে চাঁদা আদায় বন্ধ হয়ে যাওয়ায় খুশি যানবাহনের চালক, যাত্রীসহ সব শ্রেণির লোকজন।

নগরীর পাটগুদাম ব্রিজ মোড় থেকে নেত্রকোণায় নিয়মিত সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালিয়ে যাত্রী নিয়ে চলাচল করেন শরীফ মিয়া। তিনি বলেন, আগে শ্রমিক সংগঠনের নামে সড়কে চাঁদা দিয়ে চলতে হতো। তবে গত ৫ আগস্টের পর থেকে সড়কে নেই চাঁদাবাজরা। ফলে কাউকে বাড়তি টাকা দিতে হয় না। ময়মনসিংহ থেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশাযাগে নেত্রকোণায় ১০০ টাকা ভাড়া নির্ধারণ করে দিয়েছে ছাত্ররা। বর্তমানে স্বস্তিতে গাড়ি চালানো যাচ্ছে।

শহরতলীর চায়নামোড় এলাকার বাসিন্দা অটোরিকশাচালক ফজলুল হক বলেন, প্রতিদিন শহরের পাটগুদাম ব্রিজ মোড়ে আসতেই হাতে লাঠি নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকত মাস্তান প্রকৃতির একদল ছেলে। তারা আমাদের হাতে একটি রশিদ ধরিয়ে ১০ টাকা চাঁদা নিত। রাতে গাড়ি চালানোর সময় সুযোগমতো ট্রাফিক পুলিশও চাঁদা আদায় করত। কিন্তু এখন আর কেউ চাঁদা নেয় না। বর্তমান সময়ের মতো সারাবছরই চাঁদা ছাড়াই গাড়ি চালাতে চাই।

ট্রাকচালক ফকর উদ্দিন বলেন, ময়মনসিংহের বিভিন্ন সড়কে চাঁদা দিয়ে ট্রাক চালাতে হতো। এখন আর সে অবস্থা নেই। চাঁদা নেয়ার লোকজন সড়কে না থাকায় ফুরফুরে মেজাজে গাড়ি চালানো যাচ্ছে।

সড়ক ও জনপথ সূত্র জানায়, ময়মনসিংহের সড়ক-মহাসড়কে প্রতিদিন ৩০-৩৫ হাজার ছোট-বড় যানবাহন চলাচল করে। সবচেয়ে বেশি চাঁদাবাজি হয় পণ্যবাহী ট্রাক ও পিকআপে। এছাড়া মাহিন্দ্র, সিএনজি ও অটোরিকশা থেকেও চাঁদা আদায় করে। চাঁদাবাজি সারাবছর বন্ধ রাখতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কঠোর নজরদারি প্রয়োজন।

ময়মনসিংহ র‌্যাব-১৪ সদর দফতরের অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ মহিবুল ইসলাম খান জানান, র‌্যাব জেলার বিভিন্ন সড়কে মাঝেমধ্যেই অভিযান চালিয়ে যানবাহনে চাঁদাবাজির সময় গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনছে। চাঁদাবাজরা সবচেয়ে বেশি টার্গেট করে সবজিসহ অন্যান্য পণ্যবাহী পরিবহণকে। এগুলো থেকে অবৈধভাবে প্রতিদিন বিপুল পরিমাণ টাকা চাঁদাবাজির মাধ্যমে হাতিয়ে নেয়। র‌্যাব সদস্যরা সড়কগুলো নজরদারিতে রেখেছে। কোথাও চাঁদাবাজি চললে গ্রেফতার করা হবে।

আরও পড়ুন
সারাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
সর্বশেষ
জনপ্রিয়