বাংলাদেশের সংস্কার খাতে পাশে থাকবে উন্নয়ন সহযোগীরা

30

সংস্কার কার্যক্রমের জন্য সহায়তা প্রয়োজন। উন্নয়ন সহযোগী সংস্থাগুলোর প্রতিনিধিদের সঙ্গে সিরিজ বৈঠক করছেন অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। এ ছাড়া প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস, পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ ও বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর পৃথক পৃথক বৈঠক করেছেন। এসব বৈঠকে বড় অঙ্কের বৈদেশিক সহায়তা পাওয়ার আশ্বাস পেয়েছে বাংলাদেশ। বিশ্বব্যাংক, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি), ইসলামী উন্নয়ন ব্যাংক (আইএসডিবি) ও যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার (ইউএসএআইডি) সঙ্গে অর্থ উপদেষ্টার বৈঠক হয়েছে। আইএমএফের সঙ্গে জুম প্লাটফর্মে একটি বৈঠক হয়েছে। পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জাপান, ভারত, চীন প্রভৃতি দেশের রাষ্ট্রদূত এবং হাইকমিশনারদেরও অর্থ উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। সবার কাছ থেকে মোট ১ হাজার ২০ কোটি ডলার পাওয়া যেতে পারে বলে জানা গেছে।

আর্থিক খাত সংস্কারে বাংলাদেশকে ১০০ কোটি ডলারের ঋণ সহায়তা দিতে পারে বিশ্বব্যাংক। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে বিশ্বব্যাংকের পর্ষদে এই ঋণ অনুমোদিত হওয়ার কথা। অন্যদিকে, ডিসেম্বরের মধ্যে বাজেট সহায়তা হিসেবে বাংলাদেশকে ৪০ কোটি ডলার ঋণ দেবে এডিবি। সংস্থাটি ব্যাংকসহ আরও কয়েকটি খাতে সংস্কারের জন্য দেবে ৫০ কোটি ডলার। এর বাইরে জ্বালানি খাতের উন্নয়নেও এডিবি’র কাছে ১০০ কোটি ডলার চেয়েছে বাংলাদেশ। সংস্থাটি চলমান প্রকল্পগুলোও অব্যাহত রাখবে।

যুক্তরাষ্ট্রও বাংলাদেশকে ২০ কোটি ডলারের বেশি উন্নয়ন সহায়তা দিচ্ছে। স্বাস্থ্য, সুশাসন, মানবিক ও অর্থনৈতিক সুযোগ সৃষ্টি এবং মানুষের ঘুরে দাঁড়ানোর সক্ষমতা বৃদ্ধিতে এ অর্থ কাজে লাগানো হবে। এদিকে, আইএমএফের কাছ থেকে বাড়তি ৩০০ কোটি ডলার বাজেট সহায়তা পাওয়ার বিষয়ে আশাবাদী সরকার। সংস্থাটির সঙ্গে বাংলাদেশের বর্তমানে ৪৭০ কোটি ডলারের একটি ঋণ কর্মসূচি চলমান। আগামী মাসে যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে অনুষ্ঠেয় আইএমএফের বার্ষিক সাধারণ সভায় এ বিষয়ে বিশদ আলোচনা হবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here