শেরপুরের নকলায় ১৯৭৮ সালে ৫০ শয্যাবিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স প্রতিষ্ঠা হয়। এরপর এখানে কোনো অস্ত্রোপচার করা হয়নি।
শেষ পর্যন্ত ৪৭ বছর পর প্রথমবারের মতো এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সিজারের মাধ্যমে অপারেশন থিয়েটার চালু করা হলো। শনিবার (২৮ জুন) দুপুরে এক প্রসূতির সিজার করা হয় এখানে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, এদিন সাদিয়া (১৯) নামে এক প্রসূতির সিজার করা হয়। এতে তিনি ছেলে সন্তানের জন্ম দেন। অপারেশনের দায়িত্ব পালন করেন গাইনি চিকিৎসক ডা. উম্মে রাকিবা জাহান মিতু, এনেস্থেসিয়া ডা. রিয়াজুল করিম, সহকারী মেডিকেল অফিসার ডা. নাইমা ইসলাম পিংকি এবং সিনিয়র নার্স মিনা খাতুন।
নবজাতকের বাবা হাবিবুল্লাহ বলেন, নামমাত্র মূল্যে আমার স্ত্রীর সিজার করা হয়েছে। স্ত্রী এবং সন্তান সুস্থ আছে।
নবজাতকের নানী আবেগাপ্লুত হয়ে বলেন, আমরা গরিব মানুষ, এত ব্যয়বহুল চিকিৎসা সম্ভব হতো না। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও চিকিৎসকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. গোলাম মোস্তফা বলেন, ১৯৭৮ সালে নকলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স প্রতিষ্ঠা হয়। কিন্তু অপারেশন থিয়েটার চালু করা হয়নি। এজন্য এতদিন এ এলাকার লোকজনকে শেরপুর সদর হাসপাতালে যেতে হয়েছে। এখন থেকে এই প্রতিষ্ঠানেই অপারেশন করা হবে।
তিনি আরও বলেন, প্রতিষ্ঠার এই দীর্ঘ সময় পরে জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ শাহীনের সহযোগিতায় আধুনিক যন্ত্রপাতিসহ অপারেশন থিয়েটার চালু হয়েছে।