
নালিতাবাড়ী প্রতিনিধি : শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলায় বন্যার পানি নেমে গেছে। আকস্মিক বন্যায় জেলায় সাড়ে ১১ কোটি টাকার ফসলের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বন্যায়
৭১০ হেক্টর জমির রোপা আমন বিনষ্ট হওয়ায় ছয় হাজার ৮৮৫ কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। ৬৫ হেক্টর জমির সবজি বিনষ্ট হওয়ায় ১ হাজার ৩৯৭ কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় বন্যায় ফসলের ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঝিনাইগাতী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ফরহাদ হোসেন। বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢল নামা বন্ধ হওয়ায় ঝিনাইগাতীর মহারশি ও সোমেশ্বরী নদীসহ জেলার অন্যান্য নদী এখন শান্ত রয়েছে। পানি নেমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ভেসে উঠছে বন্যার ক্ষত। মহারশি নদীর বাঁধ ভেঙে ১১টি পরিবার গৃহহীন হয়েছে।
কয়েক দিন আগে ভারী বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢলে শেরপুরের নালিতাবাড়ী ও ঝিনাইগাতী উপজেলায় ব্যাপক বন্যা হয়। বন্যার সময় ঝিনাইগাতীর মহারশি নদীতে এবং নালিতাবাড়ীর চেল্লাখালী নদীর পানিতে ভেসে আসা লাকড়ি ধরতে গিয়ে দুজন নিখোঁজ হয়। পরে তাদের লাশ উদ্ধার করেন ফায়ার সার্ভিস সদস্যরা ও স্থানীয় বাসিন্দারা।
টানা ভারী বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে মহারশি নদীর তীর রক্ষা বাঁধের ৫টি স্থানে প্রায় ১২০ মিটার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন শেরপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আখিনুজ্জামান।