শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার নয়াবিল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মিজানের বিরুদ্ধে জনতার দলের ময়মনসিংহ বিভাগীয় যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ মো. সাইয়েদ আঙ্গুরের ওপর হামলা ও তার কাছে চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নালিতাবাড়ী থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
রোববার (২৯ জুন) দুপুরে অভিযোগ প্রাপ্তির তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেল রানা।
শনিবার (২৮ জুন) রাতে শহরের মাধবপুরস্থ শেরপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ওই অভিযোগ করেন ২০২৪ সালের নির্বাচনে শেরপুর-২ আসনে সংসদ সদস্য প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী সৈয়দ মো. সাইয়েদ আঙুর।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমি ঢাকার বঙ্গবাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি। পাশাপাশি একটি মিডিয়া প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী। বেশ কিছুদিন পূর্বে নালিতাবাড়ী উপজেলার নয়াবিল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. মিজানুর রহমান মিজানের বিরুদ্ধে চোরাকারবারি, চাঁদাবাজি ও জবর দখলের সত্য সংবাদ প্রকাশিত হওয়ায় গত ১৬ জুন বিকেলে নয়াবিল দক্ষিণবাজারে মিজান চেয়ারম্যানসহ তার দুই ভাই মো. নূরে আলম সিদ্দিক শাহীন (৩৫), মো. নূরল আমিন (৪৫), মো. সুমাইল (২৮), মো. সারোয়ার (৩২), মো. স্বাধীন (২৭), মো. ছফর উদ্দিনসহ (৩০) বেশ কয়েকজন আমার পথরোধ করে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। সেদিনের ঘটনা জনসম্মুখে হওয়ায় কোনোরকমে প্রাণে বেঁচে আমি চলে আসি। পরবর্তীতে আমার জনতার দলের চেয়ারম্যান বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অব.) শামীম কামাল স্যার শেরপুর জেলার ৫টি থানায় দলের কমিটি গঠন করার জন্য মৌখিক নির্দেশের পর আমি কমিটি করার উদ্দেশে ঢাকা থেকে নালিতাবাড়ী আসি।
শনিবার (২৮ জুন) নয়াবিল ইউনিয়নের সিধুলী গ্রামে আমার নিজ জায়গায় একটি দুতলা বাড়ির নির্মাণ কাজের তদারকির সময় মিজান চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজ আমাকে দলীয় কমিটি গঠন প্রক্রিয়া বন্ধ করার জন্য চাপ প্রয়োগ করে এবং আমার কাছে ৫০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে।
আমি চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় তারা আমাকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে ও শরীরে প্রহার করে এবং প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করে। পরে আমি চিৎকার শুরু করলে তারা সেখান থেকে সটকে পড়ে। এই মিজান চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ছাত্র হত্যা মামলা, সাংবাদিকের ওপর হামলার মামলাসহ ৫টি মামলা চলমান রয়েছে। তাই মিজানসহ তার সন্ত্রাসী বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ জানান তিনি।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি ইতোমধ্যে শেরপুর সেনা ক্যাম্প বরাবর অভিযোগ দিয়েছি। একইসাথে থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি।
সংবাদ সম্মেলনে জনতার দল শেরপুর জেলা শাখার সভাপতি বুলবুল আহমেদসহ জেলায় কর্মরত প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেল রানা বলেন, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মিজানের বিরুদ্ধে সৈয়দ মো. সাইয়েদ আঙুর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।